এর আগের লেখায় রোজায় স্ত্রী সহবাস ওশারীরিক দুর্বলতা কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ে লিখেছিলাম। এর অন্যতম কারন পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া।
আমাদের শরীরের বেশির ভাগ অংশ পানি হওয়ায় শরীরের যাবতীয় কাজে সব সময় পানির প্রয়োজন। অপর দিকে এই গরমে শরীর থেকে প্রচুর ঘাম ঝড়ে তাই পানির চাহিদা তুলনামূলক বেড়ে যায়। রোজায় ইফতারের পর সেহরি পর্যন্ত হাতে সময় কম থাকে বলেও অনেকে পানি ঠিক কোন সময়ে খাবেন বুঝতে পারেন না। ফলে শরীর খুব দ্রুত ডিহাইড্রেট হয়ে নিস্তেজ হতে থাকে।
কিছু সহজ উপায়ঃ
১। ইফতারে ভাঁজা পোড়া খবার না খেয়ে একবারেই রাতের খাবার খেতে হবে।
২। প্রথমে শুধু অল্প পানি দিয়ে ইফতার শুরু করতে হবে, পেট ভরে পানি খাওয়া যাবে না।
৩। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে খাবার খাওয়ার সময় একবারে বেশি না খেয়ে অল্প অল্প করে পানি পান করলে খাবার সহজে হজম হয় এবং এতে খাবার গিলতেও সুবিধে হয়।
৪। ইফতারে মিষ্টি জাতীয় সরবত- খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পরে খেতে হবে।
৫। খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পর থেকে ঘুমানোর আগে পর্যন্ত পানি খেতে হবে।
৬। প্রতিদিন ইফতারের পর থেকে সেহরী পর্যন্ত সব মিলিয়ে দুই থেকে আড়াই লিটার পানি অবশ্যই খেতে হবে।
৭। ত্রিফলা পাউডারঃ ইফতার এর পর গ্লাস গরম পানিতে ১ চা চামচ ত্রিফলা পাউডার মিশিয়ে ছেঁকে নিয়ে খেতে পারেন। এটি প্রস্রাবের জ্বালা পোড়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
৮। প্রধান খাবারের এক ঘন্টা পর অবশ্যই এক বা একাধিক ফলমুল রাখতে হবে। এছারাও লেবুর সরবত খাওয়া খুব উপকারী।
0 Response to "এই গরমে ইফতার এবং এর পরবর্তী সময়ে পানি খাওয়ার নিয়ম"
Post a Comment