এই রােগে পিঠে, বুকে, মুখে, ঘাড়ে, হাত-পায়ে পানি ভর্তি ফোস্কা ওঠে। তবে ফোস্কা ওঠার কয়েকদিন পূর্ব থেকে হালকা জ্বর, মাথা ব্যথা, শরীর ম্যাজমেজ করা, বমিবমি ভাব ইত্যাদি থাকতে দেখা যায়। এসব ফোস্কাতে ভীষণ চুকানি থাকে। এই রােগ বাচ্চাদের মধ্যে বেশী দেখা যায় এবং সরাসরি স্পর্শ ও হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়।
Antimonium Tartaricum : এন্টিম টার্ট চিকেন পক্সের জন্য একেবারে স্পেসিফিক ঔষধ। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলাে যে-কোন রাগের সাথে পেটে কোন না কোন সমস্যা থাকবেই, জিহ্বায় সাদা রঙের মােটা স্তর পড়বে, বমি বমি ভাব, দুর্বলতা, শরীরের ভেতরে কাপুনি, ঘুমঘুম ভাব, বুকের ভেতরে প্রচুর কফ ইত্যাদি ইত্যাদি।
Rhus Toxicodendron : রাস টক্স পানিবসন্তের একটি ভালাে ঔষধ। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলাে প্রচণ্ড অস্থিরতা, রােগী এতই অস্থিরতায় ভােগে যে এক পজিশনে বেশীক্ষণ সিহর থাকতে পারে না, রােগীর শীতভার এমন বেশী থাকে যে তার মনে হয় কেউ যেন বালতি দিয়ে তার গায়ে ঠান্ডা পানি ঢালতেছে, নড়াচড়া করলে তার ভালাে লাগে অর্থাৎ রােগের কষ্ট কমে যায়, জ্বালাপােড়া, চুলকানি ইত্যাদি। রাস টক্স খাওয়ার সময় ঠান্ডা পানিতে গােসল বা ঠান্ডা পানিতে গামছা ভিজিয়ে শরীর মােছা যাবে না। এতে ঔষধের একশান নষ্ট হয়ে যায়।
Mercurius solubilis : মার্ক সল ঔষধটি পানি বসন্তের শেষের দিকে খাওয়াতে হয়, যখন ফোস্কা উঠা শেষ হয়ে যায় এবং পাকতে শুরু করে। এটি ফোস্কাতে পুঁজ হওয়া বন্ধ করে এবং এন্টিবায়ােটিকের মতাে ফোস্কা শুকিয়ে আরােগ্য করে। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলাে প্রচুর ঘাম হয় কিন্তু রোগী আরাম পায় না, ঘামে দুর্গন্ধ বা মিষ্টি গন্ধ থাকে, রােগী ঠান্ডা পানির খাওয়ার জন্য পাগল, রােগের উৎপাত রাতের বেলায় বেড়ে যায়, মুখ থেকে লালা ঝরে ইত্যাদি।
Pulsatilla Pratensis : পালসেটিলা চিকেনপক্সের আরেকটি সেরা ঔষধ। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলাে গলা শুকিয়ে থাকে কিন্তু কোন পানি পিপাসা থাকে না, ঠান্ডা বাতাস ঠান্ডা খাবার ঠান্ডা পানি পছন্দ করে, গরম আলাে- বাতাসহীন বদ্ধ ঘরে বিরক্ত বােধ করে ইত্যাদি। আবেগপ্রবন, অল্পতেই কেঁদে ফেলে এবং যত দিন যায় ততই মােটা হতে থাকে, এমন মেয়েদের ক্ষেত্রে পালসেটিলা ভালাে কাজ করে। এসব লক্ষণ কারাে মধ্যে থাকলে যে-কোন রােগে পালসেটিলা খাওয়াতে হবে।
0 Comments